কোচিং ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
দেখলাম, কোচিং এর ব্যাপারে রুল জারি করা হয়েছে হাইকোট থেকে-
বিষয়টাকে আমি খুবই আন্তরিকতার সাথে স্বাগত জানাই,
এর ফলে হয়তো আমাদের চোখে দীর্ঘ দিনের যারা, কোচিং হিরো ভাইয়া নামে পরিচিত ছিলেন- আজ তারা হয়তো ভিলেন হিসেবে বিবেচিত হবেন
কিন্তু আমার কথা এই বিষয়কে ঘিরে নয়, আমার প্রশ্ন যদি আমরা আমাদের পার্ট টাইম সময় অতিবাহিত করতে আসা,ব্যাক বেঞ্চার বা স্বজনপ্রীতি তে শিক্ষক নিয়োগে এখনো আবদ্ধ থাকি, শিশুদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মত যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে না পারি। তাহলে এই কোচিং সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা এদেশে আজীবনেও কি শেষ হবে? কারণ এখনো এদেশে পূর্ণ সিলেবাস বা সম্পূর্ণ বই শেষ করতে পারে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের সংখ্যা বিরল।এদের সকলেই গাইড বা সাজেশনের উপর পূর্ণ নির্ভরশীল।
সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি তো দূরে থাক,কোন শিক্ষার্থী র সাথে কি কেমন ভাবে বলতে হবে, কি শিখাতে হবে,কোন বয়সে কেমন আচরণ হওয়া উচিত এটাও নিদেনপক্ষে অনেক শিক্ষক নামের ব্যবসায়ী রা জানেন না।
শিশুরা শিখতে চায়, তাকে আপনি যা শেখাবেন, তারা তা গ্রহণ করবে। সিধান্ত আপনার-তাদের কে আপনি কোন উপায়ে শেখাবেন।
তাদের শিখে শিখাবেন ;না,পড়ে শেখাবেন ; না, অভিজ্ঞতা দিয়ে শেখাবেন; না মুখস্ত করে!!
এদেশের ব্যস্ত অভিভাবক তো ঝাপিয়ে পড়েন,বাচ্চাকে তার বাচ্চার স্কুলের শিক্ষকের কাছে পড়াতে, যেন সে পরীক্ষায় বেশি বেশি মূল্যায়ন পায়।
কিন্তু দু:খের বিষয় হল এই স্কুল শিক্ষকরা কিন্তু বাস্তব জীবনের পরীক্ষায় এবং অভিজ্ঞতায় মূল্যায়ন করতে পারেনা কারণ তিনি নিজেকে বাস্তবিক জ্ঞানের বাহিরে তার সমস্র শিক্ষা জীবন অতিবাহিত করে এখন এসেছেন দেশের হালে পানি দিতে।
যেহেতু সন্তান তার নিজের না তো ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কারণ ও তার না।সে ভুলে যায় তার এক দুই উপদেশ বাচ্চার জীবনের পাথেয় হতে পারত, তাই সে ক্রমাগত শেখা থেকে বঞ্চিত রাখে
কারণ কারণ তিনি ঐতিহাসিক ভাবে ভাবেন,তিনি শিক্ষক, তিনি সবাইকে শেখান!
আমার মতে, এটা,একদম ভুল, একদম ভুল!
এ ধারণা একেবারেই ভুল।আপনাকে জানতে এবং শিখতে হবে সবচেয়ে বেশি এবং শিখতে হবে অনবরত কারণ আপনার শিক্ষার্থী শুধু মাত্র আপনাকে আপনার বিষয়াবলী নিয়েই প্রশ্ন করবে না সে প্রশ্ন করতে পারে তার সমগ্র জীবন যাপন নিয়েই।
তাই তাদের প্রতিটি প্রশ্ন এবং আচরণ থেকে আপনার শেখার সুযোগ রয়েছে এখানেই, এখানে লজ্জার কিছু নাই,শিক্ষা একটা ধ্রুব সত্য বিষয় যা চলন্ত ট্রেনের মত মৃত্যুর আগ পর্যাপ্ত চলতেই থাকে আর আপনি শিক্ষক হলেন তার কাণ্ডারি /চালক।
তাই আপনাকে মাতাল, অন্ধ বা অসচেতন হলে চলবে বা বরং হতে হবে অন্যদের থেকে একেবারেই আলাদা মোটিভেটেট ব্যক্তিত্ব। যার গাইড হবে তার ছাত্রে আদর্শ এবং তার উপদেশ এবং পথ নির্দেশনা হবে তার আগামী দিনের চলার পাথেয়।ভুল করলে যে শুধরান যায়,ব্যর্থ হলে যে পরিশ্রম করলে সফল হওয়া যায় এবং হতাশ হলেও যে ধৈয্য ধরে আপনাকে ফিরে পাওয়া যায়, তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা রূপ তাকে আপনাকেই দিতে হবে এবং শেখাতে হবে কিভাবে শিখতে হয়, শেখাকে উগলিয়ে দেওয়া নয়।
সামাজিক এবং পারিবারিক বাধা যে তার সামনে আসন্ন সেটার তাগিদ ও কিন্তু তার এশিক্ষা থেকে পাওয়া উচিত।তার পাওয়া উচিত তার শারীরিক ও মানসিক রোগের অগ্রিম প্রস্তুতির পরামর্শ ও।
আর এসমস্ত বিষয় যখন আমরা নিশ্চিত করতে পারবো আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলাতে তখন আর কোচিং এর দরকার পড়বে না, দরকার পড়বে শুধু তাদের পরিবেশ বান্ধব কিছু প্ল্যাটফর্ম এর।
collected
https://www.facebook.com/youtheyebd?__tn__=%2CdC-R-R&eid=ARBbhEYCSwJdLfSqngyyUJ2S7qJr_VuF3d7JIRd9-a30uZOe__LKR_taVhIdecyqIEeh9g-ahaScQQ-P&hc_ref=ARTSM238n87I466oeaKpZRD9ywvVpiSCQkZRbux8fhuo3pX9gVceXkSOFrZW0gww6r0&fref=nf
বিষয়টাকে আমি খুবই আন্তরিকতার সাথে স্বাগত জানাই,
এর ফলে হয়তো আমাদের চোখে দীর্ঘ দিনের যারা, কোচিং হিরো ভাইয়া নামে পরিচিত ছিলেন- আজ তারা হয়তো ভিলেন হিসেবে বিবেচিত হবেন
Ideal Teacher |
কিন্তু আমার কথা এই বিষয়কে ঘিরে নয়, আমার প্রশ্ন যদি আমরা আমাদের পার্ট টাইম সময় অতিবাহিত করতে আসা,ব্যাক বেঞ্চার বা স্বজনপ্রীতি তে শিক্ষক নিয়োগে এখনো আবদ্ধ থাকি, শিশুদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মত যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে না পারি। তাহলে এই কোচিং সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা এদেশে আজীবনেও কি শেষ হবে? কারণ এখনো এদেশে পূর্ণ সিলেবাস বা সম্পূর্ণ বই শেষ করতে পারে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের সংখ্যা বিরল।এদের সকলেই গাইড বা সাজেশনের উপর পূর্ণ নির্ভরশীল।
সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি তো দূরে থাক,কোন শিক্ষার্থী র সাথে কি কেমন ভাবে বলতে হবে, কি শিখাতে হবে,কোন বয়সে কেমন আচরণ হওয়া উচিত এটাও নিদেনপক্ষে অনেক শিক্ষক নামের ব্যবসায়ী রা জানেন না।
শিশুরা শিখতে চায়, তাকে আপনি যা শেখাবেন, তারা তা গ্রহণ করবে। সিধান্ত আপনার-তাদের কে আপনি কোন উপায়ে শেখাবেন।
তাদের শিখে শিখাবেন ;না,পড়ে শেখাবেন ; না, অভিজ্ঞতা দিয়ে শেখাবেন; না মুখস্ত করে!!
এদেশের ব্যস্ত অভিভাবক তো ঝাপিয়ে পড়েন,বাচ্চাকে তার বাচ্চার স্কুলের শিক্ষকের কাছে পড়াতে, যেন সে পরীক্ষায় বেশি বেশি মূল্যায়ন পায়।
কিন্তু দু:খের বিষয় হল এই স্কুল শিক্ষকরা কিন্তু বাস্তব জীবনের পরীক্ষায় এবং অভিজ্ঞতায় মূল্যায়ন করতে পারেনা কারণ তিনি নিজেকে বাস্তবিক জ্ঞানের বাহিরে তার সমস্র শিক্ষা জীবন অতিবাহিত করে এখন এসেছেন দেশের হালে পানি দিতে।
যেহেতু সন্তান তার নিজের না তো ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কারণ ও তার না।সে ভুলে যায় তার এক দুই উপদেশ বাচ্চার জীবনের পাথেয় হতে পারত, তাই সে ক্রমাগত শেখা থেকে বঞ্চিত রাখে
কারণ কারণ তিনি ঐতিহাসিক ভাবে ভাবেন,তিনি শিক্ষক, তিনি সবাইকে শেখান!
আমার মতে, এটা,একদম ভুল, একদম ভুল!
এ ধারণা একেবারেই ভুল।আপনাকে জানতে এবং শিখতে হবে সবচেয়ে বেশি এবং শিখতে হবে অনবরত কারণ আপনার শিক্ষার্থী শুধু মাত্র আপনাকে আপনার বিষয়াবলী নিয়েই প্রশ্ন করবে না সে প্রশ্ন করতে পারে তার সমগ্র জীবন যাপন নিয়েই।
তাই তাদের প্রতিটি প্রশ্ন এবং আচরণ থেকে আপনার শেখার সুযোগ রয়েছে এখানেই, এখানে লজ্জার কিছু নাই,শিক্ষা একটা ধ্রুব সত্য বিষয় যা চলন্ত ট্রেনের মত মৃত্যুর আগ পর্যাপ্ত চলতেই থাকে আর আপনি শিক্ষক হলেন তার কাণ্ডারি /চালক।
তাই আপনাকে মাতাল, অন্ধ বা অসচেতন হলে চলবে বা বরং হতে হবে অন্যদের থেকে একেবারেই আলাদা মোটিভেটেট ব্যক্তিত্ব। যার গাইড হবে তার ছাত্রে আদর্শ এবং তার উপদেশ এবং পথ নির্দেশনা হবে তার আগামী দিনের চলার পাথেয়।ভুল করলে যে শুধরান যায়,ব্যর্থ হলে যে পরিশ্রম করলে সফল হওয়া যায় এবং হতাশ হলেও যে ধৈয্য ধরে আপনাকে ফিরে পাওয়া যায়, তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা রূপ তাকে আপনাকেই দিতে হবে এবং শেখাতে হবে কিভাবে শিখতে হয়, শেখাকে উগলিয়ে দেওয়া নয়।
সামাজিক এবং পারিবারিক বাধা যে তার সামনে আসন্ন সেটার তাগিদ ও কিন্তু তার এশিক্ষা থেকে পাওয়া উচিত।তার পাওয়া উচিত তার শারীরিক ও মানসিক রোগের অগ্রিম প্রস্তুতির পরামর্শ ও।
আর এসমস্ত বিষয় যখন আমরা নিশ্চিত করতে পারবো আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলাতে তখন আর কোচিং এর দরকার পড়বে না, দরকার পড়বে শুধু তাদের পরিবেশ বান্ধব কিছু প্ল্যাটফর্ম এর।
collected
https://www.facebook.com/youtheyebd?__tn__=%2CdC-R-R&eid=ARBbhEYCSwJdLfSqngyyUJ2S7qJr_VuF3d7JIRd9-a30uZOe__LKR_taVhIdecyqIEeh9g-ahaScQQ-P&hc_ref=ARTSM238n87I466oeaKpZRD9ywvVpiSCQkZRbux8fhuo3pX9gVceXkSOFrZW0gww6r0&fref=nf
No comments